Posts

Showing posts from July, 2019

ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের উপায়

Image
ডিজিটাল নাগরিকত্ব অত্যন্ত উন্নত একটি ধারণা ও এর দ্বারা একটি শিশুর পরিচয় সম্পূর্ণ হয় ৷ শিশুদের জন্য এটা একটা প্রকৃত ডিজিটাল যুগ যেখানে ছোটবেলা থেকেই একটি শিশুকে প্রোগ্রামিং ও রোবটিক্স শেখানো হয় ৷ প্রযুক্তিবিদ্যায় পারদর্শী করে তোলার এটা একটা প্রাথমিক পদক্ষেপ যেখানে প্রত্যেক শিশু বর্তমান ডিজিটাল যুগের সঙ্গে নিজেকে সম্পূর্ণ ও নিরাপদভাবে সম্পৃক্ত করে তুলতে সক্ষম হয় ৷  ডিজিটাল বাংলাদেশ একটি উন্নত ধারণা, যার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। খুব শীঘ্রই বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যার প্রয়োগ করা সম্ভব ও এতে সাফল্যলাভ করা সম্ভব হবে। এই কারণে প্রতিটি নাগরিকের এই ব্যাপারে সচেতনতার প্রয়োজন আছে। উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা একটি উন্নত দেশের পরিচয়। শিশু থেকে যুবক ও বৃদ্ধ সবার কম বেশি ডিজিটালি পারদর্শী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে। ১. ডিজিটাল পরিচয়: এটা একটা উপায় নিজেকে সবার সামনে পরিচয় দেওয়ায়। বর্তমানে কম্পিউটার ও উন্নত প্রযুক্তিকৌশলীর মাধ্যমে নিজের পরিচয় তৈরী করা সম্ভব। এক্ষেত্রে সর্বদা নিজের পরিচয়পত্র বহন করার প্রয়োজন হয়না।...

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন এক বৈপ্লবিক ইতিহাসের সূচনার আত্মকথা

Image
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন বৈপ্লবিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে এই বিপ্লবের সূচনা হয়। ২২ শে মার্চ, ১৮৯৪ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই বিপ্লবী। সূর্য সেন হলেন এক বৈপ্লবিক সত্ত্বা ও সাহসিকতার জ্বলন্ত প্রতীক যিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের নেতৃত্বের এক অনন্য নাম হল সূর্য সেন । বিপ্লবী তরুণদের মধ্যে একজন পরামর্শদাতা, স্বাধীনতা সংগ্রামের কান্ডারী সূর্য সেন "মাষ্টারদা" নামে পরিচিত ছিলেন।  চট্টগ্রামে ব্রিটিশ সরকার প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে মাস্টারদা বেশ কয়েকটি সাহসী হামলা চালান । ১৯৩০ সালের ১৮ই এপ্রিল, তিনি তাঁর সহকর্মীদের সাথে পুলিশের অস্ত্রশস্ত্র লুটপাট করে চট্টগ্রামের জালালাবাদ পাহাড়ে প্রতিরোধ প্রতিষ্ঠা করেন। বিপ্লবের আগুন এইভাবে দাবানল হয়ে চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এক বীজ বপন করে। মানুষ স্বাধীনতার জন্য বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। কল্পনা দত্ত (২৭শে জুলাই ১৯১৩ - ৮ই ফেব্রূয়ারি ১৯৯৫) (পরবর্তী কল্পনা জোশী) ভারতের স...

বাংলাদেশে মেয়েদের শিক্ষা একটি প্রতিশ্রুতিময় যাত্রা

Image
এই প্রচ্ছদটি একটি সিরিজের অংশ যা দক্ষিণ এশিয়ায় মেয়েদের শিক্ষা উন্নত করার জন্য পদক্ষেপ এবং সমাধানগুলি তুলে ধরে। বাংলাদেশ তার মানব উন্নয়ন সূচকগুলির উন্নতিতে অনেক অগ্রগতি করেছে, এটি দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে অনেকগুলি ব্যাপারে বেশ সগৌরবে ভালভাবে অগ্রসর হচ্ছে। এই অর্জনগুলির মধ্যে প্রধানতম হচ্ছে মেয়েদের শিক্ষা, যার জন্য বাংলাদেশ এখন মডেল হিসাবে দাঁড়িয়েছে। নারীশিক্ষা কেন প্রয়োজন? একজন নারীর পরিচয় কখনো মা, কখনো বোন আবার কখনো কারুর মেয়ে হিসেবে। এই দেশে প্রত্যেক মায়ের শিক্ষিত হওয়ার অত্যন্ত দরকার। একজন শিক্ষিত মা এক আদর্শ সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। কারণ তিনি তাঁর সন্তানকে প্রকৃত ও যথার্থ শিক্ষা দিয়ে যুক্তিবাদী করে তোলেন। আজ আমাদের সমাজ সুশিক্ষা ও সঠিক সংস্কারের অভাবে অবক্ষয়ের পথে এগিয়ে চলেছে। কুশিক্ষা, কুসংস্কার মানুষকে পিছনে টেনে আনে। সুশিক্ষা হল অগ্রগতির প্রাথমিক ধাপ ও তার জন্য নারীশিক্ষা অত্যন্ত আবশ্যক এক প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আপনার ঘরের মা, বোন ও মেয়েকে যথার্থ শিক্ষা দিয়ে পড়াশোনা শিখিয়ে শিক্ষিত করে তুলুন। তবেই তারা ভালো মন্দের ব্যাপারে অবগত...

রিফাতহত্যা কি আপনার বিবেক দংশন করছে?

Image
বেশ কিছুদিন ধরে একটা ব্যাপার নিয়ে খুব দ্বিধার মধ্যে আছি। সম্প্রতি বাংলাদেশে জনসম্মুখে দিনের আলোয় একটি ভয়ানক খুনের ঘটনা ঘটে গেছে। যেখানে আমরা দেখতে পাই একটি যুবককে বাকি ৪-৫ যুবক ধরে অমানবিকভাবে কোপাচ্ছে। যুবকটি রক্তাক্ত অবস্থায় ছুটে বেড়াচ্ছে অসহায় অবস্থায় সাহায্যের জন্য, নিজেকে রক্ষা করার জন্য। । কিন্তু সবাই শুধু দেখছে, এসে সাহায্য করা বা প্রতিবাদ করার জন্য কেউ নেই। এখানে একটা প্রশ্ন মনে উঁকি দেয়? যারা খুনটা দিনের আলোয় সবার সামনে করলো, তাদের যেমন শাস্তির দরকার, ঠিক সেইরকম যারা এই ভয়ানক দৃশ্য উপভোগ করল, তাদের বিধানটা কে দেবে? একটা জিনিস খুব আশ্চর্য্যের। সেটা হল সম্পূর্ণ ঘটনাটির ভিডিও কেউ কিভাবে করতে পারলো? মনুষ্যত্ব নামক জিনিসটির অস্তিত্ব কি আর নেই নাকি? অপরাধীর মতো যে অপরাধকে দেখে সহ্য করে, সেও কি সমানভাবে দায়ী? অনেকরকম প্রশ্ন মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে? পুরো ঘটনাটি কি আগে থেকে পরিকল্পিত? নাকি হঠাৎ করে রাগের বশে প্রতিশোধ নিতে এইভাবে সবার সামনে খুন করা? খুন করতে গেলে তো ঠান্ডা মাথায় খুনিরা তা করতে পারতো। ছেলেটিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কোথাও মেরে লাশ পুঁতে ফেলতে পারতো, তা না করে এইভাব...