নারীর প্রগতিশীল সুষ্ঠু উন্নয়নে বাংলাদেশের ভূমিকা


শেখ হাসিনার সরকার ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিবাহ বিরুদ্ধ আইন প্রচলন করার পক্ষে তার সম্পূর্ণ রায় দিয়েছেন, ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাড়ির লোক বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সেক্ষেত্রে তার পরিবারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন।

নারীশক্তির জাগরণের দ্বারা এইভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে, প্রত্যেক নারী পুরুষের সমান অধিকার প্রাপ্ত হলে তা দেশ, সমাজ ও জাতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত মঙ্গলদায়ক হবে। বিবাহের পরিবর্তে তাদের সঠিক শিক্ষার প্রসারে বাংলাদেশ এখন দৃঢপরিকর হয়ে উঠেছে।

তাদের পিতামাতা এবং বিচারিক সম্মতি সহ, "বিশেষ ক্ষেত্রে" যেমন গর্ভধারণের মতো বিশেষ ক্ষেত্রে, অথবা যেখানে বিয়ে "পরিবারের সম্মান" রক্ষা করবে, সেখানে অধিকার প্রচারকরা বিভক্ত থাকবেন আইনগত বিঘ্নের কারণে প্রাথমিক বিবাহের উত্থান ঘটেছে। কিন্তু বাংলাদেশে শিশু বৈবাহিক বৈশ্বিক চতুর্থ সর্বোচ্চ হার রয়েছে, এবং তারা এটি বিরোধিতা চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ।


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম। নারীশিক্ষার ও স্বাস্থ্যের প্রসারে নতুন আইন প্রচলিত হয়, যার দ্বারা গ্রামাঞ্চলের মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয় লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বৃত্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দরিদ্র পরিবারের লোকজন তাদের মেয়েদের স্কুল কলেজে পাঠাতে সক্ষম হচ্ছে। মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে শুরু করে স্কুল সার্ভিস বা বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং সার্ভিস পরীক্ষায় তারা উচ্চ স্থান দখল করছে। 

কার্যক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় মহিলারা পুরুষদের সমান স্বীকৃতি পাচ্ছে। শুধু সরকার নয়, মানুষের মানসিকতার বদল ঘটেছে, যার জন্য সচ্ছল শহরের মানুষ থেকে শুরু করে গ্রামের দরিদ্র মানুষ তাদের মেয়ে সন্তানকে স্কুল কলেজে উচ্চ শিক্ষালাভের জন্য পাঠাচ্ছে।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, "নারীর জন্য অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে, বিশেষ করে গত দশকে। মনি দেশের ১৪ তম মহিলা মন্ত্রীর মধ্যে একজন, যেখানে নারীরা নেতৃত্বের অবস্থানকে দীর্ঘায়িত করেছে: আজ প্রধানমন্ত্রীর প্রধান বিরোধী দলীয় সংসদীয় স্পিকারের নেতা এই ব্যক্তিত্বময়ী নারী

নারী এখন আগের থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে গ্রামাঞ্চলের নারী এতটা স্বাধীনতা বা নিজের মতো করে বেঁচে থাকার অধিকার পাননা, সেই বিষয়ের উপরে এখন আমাদের বেশি ভাবতে হবে। অবশ্যই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। বর্তমানে সকল নারী সম্প্রদায়ের আত্মসম্মান বজায় রাখার ব্যাপারটাও খুব ভাবার বিষয়। এটি তরুণ মেয়েদের আকাঙ্ক্ষাকে প্রভাবিত করে।

স্পার্ক সংস্থা আদিবাসী নারীর অধিকারগুলির জন্য কাজ করে মুক্তাশ্রী চাকমা বলেন, "আজকে বাংলাদেশীদের মধ্যে নারীবাদ সম্পর্কে এই উন্মুক্ততা খুব নগর ভিত্তিক"।

"আপনি যদি গ্রামীণ এলাকায় যান তবে তারা 'নারীবাদী' শব্দটি পছন্দ করে না এবং কেউ এটি বলতে পারে না বা তারা প্রতিক্রিয়া দেখায়। আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আছি, যেখানে ২0 বছর ধরে সশস্ত্র সংঘাত ছিল। আদিবাসী এলাকায়, নারী সবসময় সমান্তরাল ক্ষতি - ধর্ষণ, গণধর্ষণ, গার্হস্থ্য সহিংসতা, অপহরণ - এই সকল সমস্যার সম্মুখীন হয় সর্বদা। বিশেষ করে এখানে তারা আদিবাসী মেয়েদের বিক্রি করার চেষ্টা করে।
"আমি মৃত্যুর হুমকির সম্মুখীন, ধর্ষণের হুমকি পেয়েছি প্রতিবাদ করার জন্য।"  

প্রযুক্তিগত বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় নারীর স্থান এখন পুরুষদের থেকে এগিয়ে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে একদিকে নারী যেমন নিজেকে উচ্চ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হচ্ছে, সেইরকম অন্যদিকে অনেক দরিদ্র বা নিচু প্রজাতির মানুষ টাকার অভাবে মেয়ে সন্তানকে সংসারের বোঝা ভেবে তাকে ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। এক প্রকৃত উন্নয়নশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই ঘটনা কোনোভাবেই মানা যায়না। কারণ আমাদের দেশে মেয়ে ও ছেলেদের মধ্যে কোনোরকম ভেদাভেদ মানা হয়না, সেক্ষেত্রে মেয়ে সন্তানকে কি করে তার ইচ্ছার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে গিয়ে তার থেকে বয়সে অনেক বড় একজন ছেলের সাথে বিয়ে দিতে বাধ্য করা হয়?

এর পিছনে কি কোনো যুক্তি আদৌ আছে?

পুরোটাই কি অশিক্ষা, কুসংস্কার বা দারিদ্রের কারণে মানুষ করতে বাধ্য হচ্ছে, নাকি এর পিছনে আর অন্য কোনো বৈধ বা ওঅবৈধ সামাজিক কারণ আছে?



কারণ যাই হোক না কেন ইহা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আমাদের সমাজ হলো সর্বোপরি এক পুরুষতান্ত্রিক সমাজ, কিন্তু আমরা কি এর বাইরে গিয়ে ভাবতে পারিনা, পরিবর্তন তো আমরাই ঘটাতে পারি। আমরা নিজেদের মধ্যে সামান্য পরিবর্তন যদি আনতে পারি, যার জন্য আমাদের পরিবারের বা সমাজের লোকের আরো ভালো হতে পারে, তাহলে সেই পরিবর্তনে ক্ষতি কি আছে?

পুরোটাই নির্ভর করছে আমাদের ইচ্ছাশক্তির উপরে, এই বিষয়ে আপনার মতামত কি?

একজন সামাজিক দায়িত্বশীল জীব হিসেবে আপনার মতামত খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর দ্বারা আপনি আপনার কন্যার ভবিষ্যৎ পরিবর্তন করতে সক্ষম হবেন। একটু নিজের চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করুন এবং আপনার প্রিয় কন্যাসন্তানের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করুন। তাকে উচ্চশিক্ষা দিয়ে শিক্ষিত করে কোনো সুপাত্রের সাথে আপনার সুযোগ্য কন্যার বিবাহ সম্পন্ন করুন, এতে আপনিও খুশি ও আপনার কন্যা ও এক সুষ্ঠু জীবনযাপন করতে সক্ষম হবে।

নিজেকে বদলান প্রথমে।
দেখবেন সমাজ ও অনেক বদলে যাবে আপনার একার বদলানোর সাথে।
আপনার কন্যাসন্তান আপনার মেরুদন্ড
বোঝা নয়।


- Rahman Latifur
    

Comments

Popular posts from this blog

ভোটাধিকার সর্বোপরি গণতান্ত্রিক অধিকার

বাংলাদেশ থেকে নারী পাচারের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া একান্তভাবে কাম্য

বাংলাদেশের যুব উন্নয়ন দেশের উন্নতির চাবিকাঠি